বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যা গুলো কী কী?

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হলো প্রাথমিক শিক্ষা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুকে ১০ বছরের মধ্যে প্রাথমিক প্রদান করার কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যা

বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা প্রসার ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হলো দারিদ্র্যতা।বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার বরাদ্দের পরিমান স্বাভাবিক এর তুলনায় অনেক কম। দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা ফলস্বরূপ না হওয়ায় শিক্ষাক্ষত্রে তেমন অগ্রগতি ঘটানো সম্ভব হয়নি।অভিভাবকদের দারিদ্রতা শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতির দিকে প্রদান বাধা হয়ে দাড়িয়েছে।যে সকল অভিভাবক দারিদ্র্য সীমার নিচে জীবনযাপন করে তাদের কাছে শিক্ষা অর্জন অর্থহীন কাজ। পরিবারের এরকম সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে শিশুদেরকে অল্প বয়সে কর্মের সঙ্গে ব্যাপক ভাবে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে তাই তারা প্রাথমিক শিক্ষা হতে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।অভিভাবকরাও তাদেরকে পরিবারের দারিদ্র্যতা কাঠানোর জন্য ক্ষেত, খামার,এমন কলকারখানায় কাজের জন্য পাঠায়।অভিভাবকদের এই মনোভাব প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারে ব্যাপক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি

বাংলাদেশ এ দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ফলে দারিদ্র্যতা হার অনেক বেশি। যার ফলে তুলনামূলক ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা কাঠামোর অভাব। জনসংখ্যা অধিক হওয়ার ফলে শিশুশ্রম রোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। শিশুশ্রম আইন কার্যকরী ভাবে প্রয়োগ না করার কারনে দারিদ্র্য অভিভাবক তাদের বিদ্যালয় এ না পাঠিয়ে কোনো কাজে যুক্ত করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ মনে করে।

বাংলাদেশ এর প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারে গুরুভার পাঠ্যক্রম

বাংলাদেশ এর প্রাথমিক শিক্ষা পাঠ্যক্রম বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন। পাঠ্যক্রম বিকাশে গুরু ভার হয়ে উঠেছে। যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনে আগ্রহ প্রকাশ করে যার ফলে প্রাথমিক শিক্ষা প্রসার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।প্রাথমিক শিক্ষার শিক্ষাদান পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ, এই ত্রুটিপূর্ন শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে গুরু ভার অত্যান্ত জরুরি।প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে মুল গুরুভার হচ্ছে শিক্ষক ভালো হলে শিক্ষার্থীদের ঞ্জান বিকাশ খুব তারাতারি বিকশিত/প্রসার ঘটবে। জাতির জন্য এমন গুরু ভার প্রয়োজন যাতে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক থেকেই অনেক সহজে খুব ভালো ভালো ঞ্জান অর্জন করতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে পরিদর্শন এর অভাব

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গুলো নিয়মিত পরিদর্শন হয় না। নিয়মিত পরিদর্শন না হওয়ার ফলে সেখানে অনেক অনিয়ম হয় যার ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা অর্জন হতে বঞ্চিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থা য় পরিক্ষা পদ্ধতি হলো ত্রুটিপূর্ণ, এই ত্রুটিপূর্ণ পরিক্ষা পদ্ধতি প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারের পথে একটি বড় বাঁধা। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো নিয়মিত পরিদর্শন না হওয়ার ফলে প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ব্যাহত হয়। যার কারণে প্রাথমিক ঞ্জান অর্জন হতে শিশুরা বঞ্চিত হয়।

পরিশেষে বলা যায় যে – প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারে সরকার উদ্বুত করতে হবে। সরকার শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন এর জন্য যা উদ্যেগ গ্রহণ করবে সে দিক এ সাধারণ জনগন সরকার এর থেকেও অনেক গুন বেশি সর্তকতা/সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। তবেই জাতি সুষ্ঠ সুন্দর দেশ উপহার পাবে।

আমাদের পোস্ট এ যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি তে দেকবেন। পরবর্তী পোস্ট আপনারা কি বিষয় জানতে চাচ্চেন কমেন্ট এ জানাবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment